শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি মহিলা হোক আর পুরুষ হোক তিনি সরকারের একজন কর্মকর্তা। তাকে তার বাড়িতে রাতে হামলা করে হত্যা চেষ্টা করা হলো। আর দেখা গেলো র্যাব বললো চুরির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই দ্রুত একটা প্রেস কনফারেন্স করে বলে দেয় এটা চুরির ঘটনা। এটা আসলে পুরো জিনিসটাকেই ডাইভার্ট করে দেয়া।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হামলার ঘটনায় সরকারি দলের লোককে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেয়া হলো। আসলে আজকে দেশে কোনো সরকার নেই। যে সরকার আছে তাদের দলীয়করণ করা, নিজেদের বিত্ত সম্পদ তৈরি করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।
তদন্ত এখন আর নিরপেক্ষ হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, আমরা চাই নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এই তদন্তগুলো হওয়া উচিত। যাতে করে সঠিক চিত্র বের হয়ে আসে। প্রকৃতদায়ীকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আসন্ন উপ-নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। এটা নতুন সিদ্ধান্ত নয়। শুধুমাত্র কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা দুটো উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়েও পরে ক্যাম্পেইনে যাইনি। সুতরাং আমরা আগের সিদ্ধান্তেই আছি। আমরা উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করবো। সে অনুযায়ী ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৬, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফরম বিক্রি ও জমা নেয়া হবে। ১২ তারিখে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আসার পর থেকে হত্যা, গুম বিচারববহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে দাবি করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে। তখন সেগুলো সবই ছিল রাজনৈতিক। এসব নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। জেনেভায় রিপোর্ট দিয়েছি। কিন্তু সেভাবে সামনে আসেনি।
মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, কক্সবাজারে এ ধরণের বহু ঘটনা ঘটেছে। আজকে পুলিশের কিছু কিছু কর্মকর্তার যে সম্পদের হিসাব বের হচ্ছে তাতে কী মনে হয়। এতে প্রমাণিত হয় যে পুলিশের এই এজেন্সিটা আজকে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কারণ সরকার গত নির্বাচন ও আগের নির্বাচনগুলোতে সরকার তাদেরকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।